কাঠ কাটার পর অবশিষ্ট ভুসি / তুষ / কুড়া সহজ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভেজা বা শুষ্ক, সব মৌসুমেই এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে শক্ত বা মোটা জ্বালানি তে আগুন ধরতে সহায়ক হিসেবে এই ভুসি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এটি কাঠের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এখন ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে বাড়তি কোন রাসায়নিক উপাদান দিতে হয় না, তাই এর চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ধান ভাঙানোর পর অবশিষ্ট তুষ / কুড়া ও অন্যান্য জৈব যৌগ দিয়ে উচ্চ চাপ ও তাপে চারকোল খড়ি তৈরি করা হয়। এই খড়ির ভেতরের গোলাকার ছিদ্রপথ অক্সিজেনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি গ্যাস ও কয়লার বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে।

পরিবেশবান্ধব জ্বালানি চারকোল খড়ির কিছু বৈশিষ্ট্যঃ জ্বলার সময় দ্রুত গরম হয়, অল্প ছাই উৎপন্ন হয়, ধোঁয়া কম হয়, গন্ধ নেই, উচ্চমানের কার্বন সমৃদ্ধ, উচ্চমানের ক্যালরিক গুণসম্পন্ন, দীর্ঘসময় জ্বলে, অল্প উদ্বায়ী, স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয় না, নবায়ন যোগ্য, দৃঢ়তা বেশি, সমানভাবে তাপ ছড়ায়, বাড়তি কোন রাসায়নিক দিতে হয় না।

জ্বালানি হিসেবে খড়ির ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। এছাড়া বাসা বাড়িতে গ্যাস – বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ও খরচ বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় জ্বালানি ফাড়াকাঠ। গাছ ভেদে কাঠের মান ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, শুকনা ফাড়াকাঠে আগুন ধরতে সাধারণত পাঠখড়ি কিংবা জ্বালানি ভুসি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জ্বালানি কাঠে আগুন ধরাতে অনেকে জ্বালানি তেল ও ব্যবহার করে থাকেন। কাঠের আগুনে সাধারণত সামান্য কালো ধোয়া উতপন্ন হয়ে থাকে, এর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

গাছের চিকন ডাল কে সাধারণত চেরি খড়ি বলা হয়। জ্বালানি হিসেবে ফাড়াকাঠের পাশাপাশি এই চেরি খড়ির ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। এছাড়া হোটেল ও বাসা বাড়িতে গ্যাস, বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ও খরচ বাঁচাতে চেরি জ্বালানি খড়ি ব্যবহার করা হয়। গাছ ভেদে কাঠের মান ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, শুকনা চেরি কাঠে আগুন ধরতে সাধারণত পাঠখড়ি কিংবা জ্বালানি ভুসি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চেরি জ্বালানি কাঠে আগুন ধরাতে অনেকে জ্বালানি তেল ও ব্যবহার করে থাকেন। এই আগুনে সাধারণত সামান্য কালো ধোয়া উতপন্ন হয়ে থাকে, এর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।